বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,চলমান বিধিনিষেধ ও নির্দেশনার সঙ্গে নিম্মবর্ণিত শর্তসমূহ সংশোধন পূর্বক সার্বিক কার্যাবলী বা বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। এই বিধিনিষেধ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
‘উন্মুক্ত স্থান ও ভবন অভ্যন্তরে সামাজিক,রাজনৈতিক, ধর্মীয়,রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০’র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব অনুষ্ঠানে যারা যোগ দেবেন তাদের অবশ্যই কোভিড টিকা সনদ অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে। সব স্কুল/কলেজ ও সমপর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকব।। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করে সরকার, যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সে সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া বিধিনিষেধ গুলো হলো—
১.দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা—বিক্রেতা এবং হোটেল—রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, নইলে তাকে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
২.অফিস—আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
৩.রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া ও আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা টিকা সনদ দেখাতে হবে;
৪. ১২ বছর ঊর্ধ্বের ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত তারিখের পর টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৫.স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টে ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতেও আগত ট্রাকের সঙ্গে শুধু ড্রাইভার থাকতে পারবে। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
৬.ট্রেন, বাস ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকরের তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সবরকম যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড—১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে।
৭. বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড—১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে।
৮.স্বাস্থ্যবিধি পালন এবং মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
৯.সবার করোনার টিকা ও বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ নেবে। এক্ষেত্রে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেবেন।
১০. উন্মুক্ত স্থানে সবরকম সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধ রাখতে হবে।
১১. কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
কমেন্ট করুন